Andhakarer Galpa || Avik Sarkar
₹206.25এই বইটিতে সংকলিত ছয়টি গল্প মানুষের মনের গভীর অনুভূতি, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং অন্তর্নিহিত বিষণ্ণতাকে তুলে ধরে। প্রতিটি গল্প অনন্য, যেখানে চরিত্রগুলোর আবেগ, যন্ত্রণা, এবং স্মৃতির ছায়া স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এই বইটিতে সংকলিত ছয়টি গল্প মানুষের মনের গভীর অনুভূতি, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং অন্তর্নিহিত বিষণ্ণতাকে তুলে ধরে। প্রতিটি গল্প অনন্য, যেখানে চরিত্রগুলোর আবেগ, যন্ত্রণা, এবং স্মৃতির ছায়া স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বাবুয়ানির কলকাতায় আর পাঁচটা জিনিসের সঙ্গে সবচেয়ে যা সুলভ হয়ে উঠেছিলো তা হলো মদ্যপান। শহর কলকাতার সর্বাঙ্গে তখন নবযৌবনের মাতাল উদ্দামতা। কবিগান, গোপাল উড়ের বিদ্যাসুন্দর যাত্রা, পাঁচালি, নিধুবাবুর টপ্পা, হাফ আখড়াই, বাগবাজারে পক্ষীদের দল, নিষিদ্ধ মাংস, বেশ্যা আর রাঁড় নিয়ে আমোদের বেহদ্দ। মাহেশের রথযাত্রা, জেলে আর কাঁসারিপাড়ার সঙ, বুলবুলির লড়াই, বেড়ালের বিয়েতে লাখটাকা খরচ, ইত্যাদির অবশ্যম্ভাবী সঙ্গী হয়ে এলো পাড়ায় পাড়ায় অবাদ মদ্যপান আর হরেক নেশার আড্ডা। সেদিনকার বাবুদের মনের কথা কবি বলেছেন পয়ারছন্দে…
“মিছে কাল কর গত/ মদ্য পানে হও রত/ সুখ পাবে বিধিমত/বেশ্যাসক্ত হও।”
বরণ মজুমদার, এক বিখ্যাত অভিনেতা, তার নিজ বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলেন, যেখানে মৃত্যুর সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ না থাকলেও বিষক্রিয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে।
একটি উপন্যাস যা একাদশ শতকের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী, পণ্ডিত ও তিব্বত অভিযাত্রী অতীশ দীপঙ্করের জীবনের উপর ভিত্তি করে রচিত।
ভালবাসাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় তন্ত্র, সবচেয়ে বড় যাদু।’ সেই ভয় আর ভালবাসার গল্প শোনাতে আবার ফিরে এসেছেন ভবতারণ চট্টোপাধ্যায় এবং স্বয়ং কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ।
মনুষ্যত্বের পথচলা হল অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা, মৃত্যু হতে অমৃতের দিকে যাত্রা, ভ্রান্তি থেকে সত্যের দিকে যাত্রা । তন্ত্রও সেই একই কথা বলে। বলে দেহ থেকে দেহাতীতে যাওয়ার কথা। আর এই যাত্রাপথের গলিখুঁজিতে ওঁত পেতে থাকে কত না অগণন ছায়াশরীরের বুভুক্ষু আর্তনাদ। অন্ধ অভিশাপের সাতকাহন। আর সেই অন্ধকারের ছায়ার মধ্যে কেউ কেউ আসেন আলোর মাভৈঃ মন্ত্র নিয়ে। মন্ত্রকন্ঠে বলেন, ‘জেনে রাখো অমৃতের সন্তান, এই পৃথিবীর সমস্ত পূজা, আরাধনা, মন্ত্রপাঠের থেকেও মহত্তর স্নেহ, দয়া, করুণা, মৈত্রী। কারণ ভালবাসাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় তন্ত্র, সবচেয়ে বড় যাদু।’ সেই ভয় আর ভালবাসার গল্প শোনাতে আবার ফিরে এসেছেন ভবতারণ চট্টোপাধ্যায় এবং স্বয়ং কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ।
আফগান সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে একদল শিশুকে বাঁচাবার দিনেই পর্তুগালের কম্যান্ডোবাহিনীর নায়ক মার্টিনেজ তাজ খবর পেলেন তাঁর একমাত্র ছেলে তিয়াগো মৃত্যুশয্যায়। বাড়ি এসে এক আশ্চর্য ইতিহাসের সম্মুখীন হন মার্টিনেজ, শোনেন গোয়াতে পর্তুগালের আধিপত্য বিস্তারের সময় তাঁরই এক পূর্বপুরুষের ইনক্যুইজিশনের নামের কৃত একটি মহাপাপের ইতিবৃত্ত। শোনেন তজ্জনিত এক ভয়াল অভিশাপের কথা, যার জন্যে আজ তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় মাতৃহারা সন্তানটি মৃত্যুশয্যায়। কী হলো তারপর? আমোনা গ্রামের বেতালমন্দিরের সামনে কীভাবে মিলে গেল পাঁচশো বছরের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া কাহিনির সূত্র?
কীভাবে বাংলার অক্সফোর্ড নবদ্বীপের এক বিস্মৃতপ্রায় মহাপণ্ডিত কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ হয়ে উঠলেন বিভিন্ন কালখণ্ডে ধৃত এই সমগ্র কাহিনিমঞ্জরীটির একমাত্র তন্ত্রধারক?
আসুন পাঠক, প্রবেশ করি সেই গহিন অরণ্যে, শুধু মনে রাখবেন একটি মাত্র মন্ত্র, ভালোবাসাই হল সবচেয়ে বড় তন্ত্র, সবচেয়ে বড় যাদু।
সূচি –
শোধ – ১১
রক্তফলক – ৪৫
ভোগ – ৮৬
ইনকুইজিশন – ১২৮
এই বই শুধুমাত্র গল্পের সংকলন নয়, এটি সমাজ, সম্পর্ক, এবং ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের এক নির্ভীক বিশ্লেষণ। তীক্ষ্ণ ভাষা, ব্যঙ্গাত্মক রসবোধ, ও বাস্তবতার ধারালো চিত্রায়নে অভীক সরকার পাঠককে নিয়ে যান এক অনন্য সাহিত্যিক যাত্রায়। হাস্যরস আর তীব্র সত্যের মিশেলে রচিত প্রতিটি গল্প পাঠ শেষে দীর্ঘ সময় মনে গেঁথে থাকবে। সাহসী, তীক্ষ্ণ, এবং অনবদ্য – এটি অবশ্যপাঠ্য!
দেব সাহিত্য কুটীর প্রকাশিত অভীক সরকার-এর ‘কাউরীবুড়ির মন্দির’ উপন্যাসে এক হারিয়ে যাওয়া জনজাতির প্রাচীন ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে মিশে গেছে তিনটি নরনারীর জীবন, ত্রিকোণ প্রেমের অব্যক্ত লিখন। দেওরিদের অজানা মিথের সঙ্গে মিশে গেছে এক অসহায় নারীর পারিবারিক কলঙ্কের কাহিনি। এ কাহিনি ভয়ের, এ কাহিনি লোভের, এ কাহিনি অসহায়তার, ক্রুরতার, কামনার এবং সবার ওপরে এ কাহিনি ভালোবাসার, শুধুমাত্র নিখাদ ভালোবাসার।
অতিপ্রাকৃত চমৎকার দুইটা বড়গল্প “কালিয়া মাসান” আর “খোঁড়া ভৈরবীর মাঠ” এর সংকলন। “কালিয়া মাসানে” ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সাঁওতাল বিদ্রোহ, ডাকিনিবিদ্যা, প্রতিহিংসা, অসাধারণ পাহাড়ের প্রকৃতির মিশেল খুব ভালো লেগেছে। “খোঁড়া ভৈরবীর মাঠ” পিশাচ কাহিনি হিসেবে অসাধারণ, গ্রামীণ পটভূমিতে রহস্যময় ভয়াবহ পিশাচের হানা আর তার নৃশংসতার বর্ণনা দুর্দান্ত।
পুরো বইয়ের লেখনি টানটান, অতিপ্রাকৃত ব্যাপার ছাড়াও যথেষ্ঠ পরিমাণে রহস্যের ছোঁয়াও আছে, সবমিলিয়ে হরর প্রেমীদের জন্য একটানে পড়ার মতই বই।